নিজস্ব প্রতিবেদক :
সৃজনশীল ধারার সংবাদপত্র বৃত্তের বাইরের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে পাঠকদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নতুনযাত্রায় সঙ্গী হওয়ার আহবান জানিয়েছেন সাংবাদিক, সংগঠক ও সমাজ সেবক প্রফেসর ডক্টর একেএম আবু রায়হান। ব্যবসা উদ্যোক্তা হিসেবে সফল বিজিএমইএ এর প্রভাবশালী এই সদস্য বলেন-‘গণমানুষের প্রত্যাশার একটা গণমাধ্যম উপহার দিবো আমরা। আপনারা পাশে থাকুন’। তিনি আরও বলেন-” গেলো জুলাই-আগস্টের সব কিছু সবাই জানেন। রাজনৈতিক পরিবর্তন থেকে নতুন এক ঐক্যের বার্তা ছড়িয়ে পড়েছে শহরে-বন্দরে,গ্রামের মেঠোপথে, চায়ের কাপে! কিছুদিন আগেও যে তরুণদের ঘরকুনো বলা হয়েছে তারা আজ বিশাল বন্যায় সাঁতরাচ্ছে! যাদের হাত থেকে মোবাইল সরানো যেতো না তাদের হাতে খাবারের প্যাকেট, যাদের মাথায় গেমসের নাম বেনাম লেগে ছিল তাদের মাথায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা! রাজনৈতিক অস্থিরতা, বন্যা, রিজার্ভ সংকট ছাপিয়ে সবার মধ্যে আশার ডাক-নতুন দিনের হাতছানি! এই সুবর্ণসময় অকাজে ব্যবহারে, নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতেও অসাধুদের চলা থেমে নেই। কখনো শিক্ষকদের হয়রানি, মামলার ভয় দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের থেকে চাদা দাবি, প্রতিপক্ষকে আওয়ামী লীগ বা তার দোসর বানিয়ে হামলা, মিথ্যা মামলার মত বিষয়গুলো আপনাদের চোখে পড়েছে নিশ্চয়?
গণমাধ্যম কোন সরকারের সময়েই শতভাগ নিরাপদ ছিলো না। আপনি যার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ হাজির করবেন সে-ই আপনার শত্রু হিসেবে হাজির হবে। অথচ সে-ই সারাজীবন চায় গণমাধ্যম সৎ হোক! গণমাধ্যম সৎ হোক, সেখানে এক ফোটাও হলুদ না থাকুক এটা সবায় চায়; ততক্ষণ চায় যতক্ষণ নিজের উপর না আসে! আমরা চাই একটি নতুনধারার গণমাধ্যম ; বৃত্তের বাইরে আপনাদের জন্য সেই বার্তা-ই নিয়ে এসেছে। আগামী দিনের সংবাদ পরিবেশনায় খবরের ভেতরের খবর আপনাদের জানাবো বলেই বৃত্তের বাইরে বা খবরের বাইরে লুকিয়ে থাকা খবরকে আমরা আপনাদের সামনে আনবো বলে কথা দিচ্ছি । ‘বাতাবি লেবুর বাম্পার ফলন’ টাইপের নিউজের বাইরে গিয়ে একটি গণমুখী সংবাদপত্র প্রকাশ করা অনেক কঠিন, ঝুঁকিপূর্ণ! জেনেও আমরা সেই কণ্টকাকীর্ণ পথে যাত্রা করেছি ; সেই যাত্রায় সঙ্গী আপনিও। আমাদের পাশে থাকবেন তো?
আসুন না জেগে উঠি!